রাজধানী ঢাকা থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পূর্ব দিকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র অবস্থিত। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান শেল অয়েল কোম্পানি গ্যাস ক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। ফিল্ডটির কাঠামো উত্তর-পূর্বে প্রায় ১২x৫ বর্গ কিমি উলম্ব ক্লোজার এবং ৩০০ মিটার সাব-মেরিডিয়ান অক্ষ রয়েছে যা উত্তর প্রান্তে সামান্য পূর্ব দিকে অবস্থিত। পেট্রোবাংলার পুনঃ অনুমান অনুসারে, হবিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্রের মোট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের পরিমাণ ২,৭৮৭.০০ বিলিয়ন ঘনফুট (BCF)। গ্যাস ক্ষেত্রটি হতে ১৯৬৮ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস উৎপাদন হয়ে আসছে এবং মার্চ ৩১, ২০২৪ পর্যন্ত মোট মজুদের সর্বমোট ২৭৩২.৫২৭ বিলিয়ন ঘনফুট বা শতকরা ৯৮.০৫% গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে।
এ গ্যাস ক্ষেত্রে ১০ (দশ)টি কূপ ভার্টিক্যাল এবং ০১ (এক)টি কূপ ডেভিয়েটেডভাবে খনন করা আছে। ১৪ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকায় ১০টি লোকেশনে এ কূপগুলো খনন করা আছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ফিল্ডের মোট ১১ টি কূপের মধ্যে উৎপাদনরত ৭টি কূপ হতে গড়ে দৈনিক ১১৬.৩৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করে ফিল্ডে স্থাপিত ৬টি গ্লাইকল ডিহাইড্রেশন প্রসেস প্লান্টের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করে টিজিটিডিসিএল, জিটিসিএল এবং জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের (জেজিটিডিএসএল) পাইপলাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। গ্যাসের উপজাত হিসেবে দৈনিক প্রায় ৬.৭৭ ব্যারেল কনডেনসেট উৎপাদিত হয়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে গ্যাস ক্ষেত্রে কনডেনসেট ও গ্যাসের গড় অনুপাত এবং পানি ও গ্যাসের গড় অনুপাত যথাক্রমে ০.০৫৮ ব্যারেল/মিলিয়ন ঘনফুট এবং ৩.০৩৫ ব্যারেল/মিলিয়ন ঘনফুট ছিল। অত্যাধিক পানি ও বালি উৎপাদনের ফলে হবিগঞ্জ ফিল্ডের কূপ নং-১, ২, ৮ এবং ৯ থেকে গ্যাস উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।